দর্শনা দারুস্সুন্নাত সিদ্দীকিয়া ফাযিল মাদ্রাসা-এ আপনাকে স্বাগতম

দর্শনা দারুস্সুন্নাত সিদ্দীকিয়া ফাযিল মাদ্রাসা

রেলবাজার (মসজিদ সংলগ্ন), দর্শনা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা
 নোটিশঃ 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের ইতিহাস এর বিস্তারিত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের ইতিহাস

শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের ইতিহাস

ভূমিকা:
বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। তাই এ দেশে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রয়োজনীয়তার কারণে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ধারণা আসে।

নামকরণ:
তৎকালীন ১৯৭৮ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানায় কোনো মাদরাসা ছিল না। এলাকার জনগণ ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করে মাদরাসা স্থাপনের চিন্তা করেন। এই প্রয়াসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ফুরফুরা শরীফের হুজুর মাদরাসার নামকরণ করেন “দামুড়হুদা দারুস সুন্নাহ (ডি.এস)”। এই নামটি পরবর্তীতেও বহাল থাকে।

মাদরাসার বিবরণ:
মাদরাসাটি ১৯৭৮ সালের ১লা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ের মাওলানা মো. হুরমত আলী, নজির আহম্মদ বিশ্বাস, আলী আহম্মদ বিশ্বাস, আব্দুল খালেক, ফারায়েজ মালিতা, আব্দুর রব এবং শামসুল আলম মাষ্টারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় এটি গড়ে ওঠে। শুরুতে খড়ের চাল এবং চাটাই দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে শিক্ষাদান শুরু হয়। এরপর ছাত্র-ছাত্রী (সহশিক্ষা) ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ এবং ক্লাস পরিচালনার মাধ্যমে মাদরাসার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

১৯৮৪ সালে মাদরাসাটি সরকারের একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো দাখিল পরীক্ষার অনুমতি পায়। পরবর্তীতে মাদরাসার উন্নয়নের ধারায় যোগ হয় নানা নতুন কার্যক্রম। শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাদরাসার লেখাপড়ার মান এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়।

বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদরাসায় আধুনিক পাঠদানের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। এ মাদরাসাটি ১৯৮৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত হয়। ২০০৪ সালে দাখিল ও জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এটি ৬টি মাদরাসার দাখিল ও জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কোড: ৫১০।

উপসংহার:
অত্র মাদরাসাটি উপজেলা সদরে অবস্থিত হওয়ায়, আলিম ক্লাস চালু করার পরিকল্পনা চলছে। মাদরাসার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক—এটাই সবার প্রত্যাশা। মাদরাসার উন্নতি এবং সাফল্য অব্যাহত থাকুক, এই কামনায় শেষ করছি।